রৌগুনে জান্নাতের ছোট গল্প ‘ শেষ জিঙ্গাসা ‘

– হাই।
– হুম।
– কেমন আছো?
– ভালো। আপনি?
– হুম ভালো। কি কর?
– কিছু না। আপনি?
– বসে আছি। খাইছো?
– না। আপনি?
– হুম। আচ্ছা তুমি আমায় আপনি আপনি করছো কেন?
– কেন কি বলব?
– আগে তো তুমি বলতা।
– তো?
– তো এর মানে কি?
– আজ চার দিন নক দিছিস আবার কথা বলিস? একটা কলও তো দিস না। দিনে একবার তো এক মিনিটের জন্য কল দিতে পারিস।
– হুম বুঝলাম ম্যাডামের রাগ হইছে।আচ্ছা তুমিও তো দিতে পারো তাই না?
– আমি দিবো কেন? তুই দিবি তুই দিবি তুই দিবি। আমি দিলে তো তুই আমায় বকা দিস।
– হুম বুঝলাম।
– হুম।
– আচ্ছা একটা ছবি দাও তো।
– নাই।
– তুলে দাও।
– পারবো না।
– দাও না প্লিজ।
– ফোন নষ্ট।
– তুমি একটা মিথ্যাবাদী।
– জি না আসলেই। তুমি সবাইকে জিঙ্গাস করে দেখতে পারো।
– দিবা নাকি দিবা না বলো?
– জান সত্যি ফোন নষ্ট।
– ওকে বাই।
– আজ যদি কথা না বলে চলে যাও তো আর কোন দিন কিন্তু কথা বলব না।
– ঠিক আছে।
– ঠিক আছে মানে? তোমার কাছে ছবিই সব?আমার আবেগ,অনূভূতি, ভালোবাসার কি কোন মূল্য নাই তোমার কাছে?
– তুমি বলছিলা দিবা।
– তো? ফোন নষ্ট আমি কি করবো?
– ওকে বাই।
– ওকে মনে রেখো কথাটা।
– ঠিক আছে।

পরের দিন:
– রাগ করছো জান?
– না।
– তো সারা দিন নক দিলা না যে?
– আমি অসুস্থ
– কি হইছে?
– প্রচুর পেটে ব্যাথা।
– কেন?
– জানি না। আচানক ব্যাথা সকাল থেকে।
– ডাক্তার দেখাইছো?
– না।
– কেন?
– ভয় লাগে মরার আগে যদি জেনে যাই আমি কাল মারা যাবো।
– কি সব উল্টা পাল্টা বলো যে না।
– হুম এই ব্যাথাটা আমার অনেক দিন ধরে।ব্যাথাটা অনেক টাইম থাকে সারা দিন। তবে ব্যাথাটা প্রচুর না একটু একটু।
– তো ডাক্তার দেখাও না কেন? বাবার টাকা নাই?
– না। আমার বাবা ফকির।
– ফকিরের মেয়েরে তো আমি বিয়ে করবো না।
– এহ্ না করলে জোর করে করবো। দরকার পরে হাইজাক করবো তোমায়।
– হাহাহাহা। তোমার কথায় বুঝায় যায় না যে তুমি এতো অসুস্থ।
– হুম। আমি তো এমনি।
– আচ্ছা আমি টাকা পাঠাই ডাক্তার দেখানোর জন্য?
– না।
– কেন?
– আসলে বিষয়টা টাকার না ভয়ের।
– কিসের ভয়?
– মরার আগে জেনে যাওয়া আমি মরবো।
– যাও তুমি শুধু আজে-বাজে কথাই বলো।আর কথাই বলবো না তোমার সাথে।
– হুম।
– হুম কি?
– কিছু না।
– ওকে বলবো না কথা।
– আচ্ছা।
– ওকে মনে রেখো কথাটা।
– হুম।

তারপর ৭ দিন চলে যায় আমার ইগোতে। ৭ দিন পর আমি কল দেই দ্বিপানিতাকে।

ক্রিংক্রিংক্রিংক্রিং
একটা মোটা গলার কেউ বলে হ্যালো। আমি ফোন কেটে দেই। তারপর আমি তার বান্ধবীকে ফোন দেই। সে বলে দ্বিপানিতা মারা গেছে। তাও সাতদিন আগে। কি হইছিলো তার বান্ধবী জানেন না। আমার ইগো তাকে আমায় দেখতে দিলো না।

আমি দৌড়ে তার বাসায় যাই। তখন তার ৭দিনের কাজ চলছিলো। তার মা আমাকে বলে তার কিডনি দুইটাই নষ্ট হয়ে গেছিলো আর তা থেকেই মৃত্যু। তবে সে মারা যাওয়ার আগে আমার জন্য একটি চিঠি রেখে গেছিলো তার মায়ের কাছে।

চিঠি
হাই জান। কেমন আছো? যখন তুমি এই চিঠি পরবা তখন আর আমি থাকবো না।তুমি চাইলেও আর আমায় বকতে পারবা না। আর কেউ তোমায় বিরক্ত করবে না। আমি জানি আমার প্রতি তোমার কোন আবেগ, অনুভূতি,ভালোবাসা কিছুই নাই।তাই তো এতো অবহেলা করতে পারতা। ফোন দিলে বকা দিতা।আর কিছু জিগাস করলে তো জিবনেও বলতা না।শুধু দূর দূর করতে। আজ থেকে তুমি মুক্ত।আর কেউ তোমায় বিরক্ত করবে না। আর কেউ বলবে না বিয়ের জন্য পাত্রী দেখো না। দেখলে আমি আত্নহত্যা করবো, কেউ আর কাজের সময় ফোন দিবে না,বলবে না খেতে যাও খেতে যাও, আর কোনদিন কেউ কিছু জিগাস করবে না।তবে এটা আমার জিবনের শেষ প্রশ্ন তুমি কি আমায় সত্যিই ভালোবাসতে? নাকি সবই শেষ জিঙ্গাসা

– হাই।
– হুম।
– কেমন আছো?
– ভালো। আপনি?
– হুম ভালো। কি কর?
– কিছু না। আপনি?
– বসে আছি। খাইছো?
– না। আপনি?
– হুম। আচ্ছা তুমি আমায় আপনি আপনি করছো কেন?
– কেন কি বলব?
– আগে তো তুমি বলতা।
– তো?
– তো এর মানে কি?
– আজ চার দিন নক দিছিস আবার কথা বলিস? একটা কলও তো দিস না। দিনে একবার তো এক মিনিটের জন্য কল দিতে পারিস।
– হুম বুঝলাম ম্যাডামের রাগ হইছে।আচ্ছা তুমিও তো দিতে পারো তাই না?
– আমি দিবো কেন? তুই দিবি তুই দিবি তুই দিবি। আমি দিলে তো তুই আমায় বকা দিস।
– হুম বুঝলাম।
– হুম।
– আচ্ছা একটা ছবি দাও তো।
– নাই।
– তুলে দাও।
– পারবো না।
– দাও না প্লিজ।
– ফোন নষ্ট।
– তুমি একটা মিথ্যাবাদী।
– জি না আসলেই। তুমি সবাইকে জিঙ্গাস করে দেখতে পারো।
– দিবা নাকি দিবা না বলো?
– জান সত্যি ফোন নষ্ট।
– ওকে বাই।
– আজ যদি কথা না বলে চলে যাও তো আর কোন দিন কিন্তু কথা বলব না।
– ঠিক আছে।
– ঠিক আছে মানে? তোমার কাছে ছবিই সব?আমার আবেগ,অনূভূতি, ভালোবাসার কি কোন মূল্য নাই তোমার কাছে?
– তুমি বলছিলা দিবা।
– তো? ফোন নষ্ট আমি কি করবো?
– ওকে বাই।
– ওকে মনে রেখো কথাটা।
– ঠিক আছে।

পরের দিন:
– রাগ করছো জান?
– না।
– তো সারা দিন নক দিলা না যে?
– আমি অসুস্থ
– কি হইছে?
– প্রচুর পেটে ব্যাথা।
– কেন?
– জানি না। আচানক ব্যাথা সকাল থেকে।
– ডাক্তার দেখাইছো?
– না।
– কেন?
– ভয় লাগে মরার আগে যদি জেনে যাই আমি কাল মারা যাবো।
– কি সব উল্টা পাল্টা বলো যে না।
– হুম এই ব্যাথাটা আমার অনেক দিন ধরে।ব্যাথাটা অনেক টাইম থাকে সারা দিন। তবে ব্যাথাটা প্রচুর না একটু একটু।
– তো ডাক্তার দেখাও না কেন? বাবার টাকা নাই?
– না। আমার বাবা ফকির।
– ফকিরের মেয়েরে তো আমি বিয়ে করবো না।
– এহ্ না করলে জোর করে করবো। দরকার পরে হাইজাক করবো তোমায়।
– হাহাহাহা। তোমার কথায় বুঝায় যায় না যে তুমি এতো অসুস্থ।
– হুম। আমি তো এমনি।
– আচ্ছা আমি টাকা পাঠাই ডাক্তার দেখানোর জন্য?
– না।
– কেন?
– আসলে বিষয়টা টাকার না ভয়ের।
– কিসের ভয়?
– মরার আগে জেনে যাওয়া আমি মরবো।
– যাও তুমি শুধু আজে-বাজে কথাই বলো।আর কথাই বলবো না তোমার সাথে।
– হুম।
– হুম কি?
– কিছু না।
– ওকে বলবো না কথা।
– আচ্ছা।
– ওকে মনে রেখো কথাটা।
– হুম।

তারপর ৭ দিন চলে যায় আমার ইগোতে। ৭ দিন পর আমি কল দেই দ্বিপানিতাকে।

ক্রিংক্রিংক্রিংক্রিং
একটা মোটা গলার কেউ বলে হ্যালো। আমি ফোন কেটে দেই। তারপর আমি তার বান্ধবীকে ফোন দেই। সে বলে দ্বিপানিতা মারা গেছে। তাও সাতদিন আগে। কি হইছিলো তার বান্ধবী জানেন না। আমার ইগো তাকে আমায় দেখতে দিলো না।

আমি দৌড়ে তার বাসায় যাই। তখন তার ৭দিনের কাজ চলছিলো। তার মা আমাকে বলে তার কিডনি দুইটাই নষ্ট হয়ে গেছিলো আর তা থেকেই মৃত্যু। তবে সে মারা যাওয়ার আগে আমার জন্য একটি চিঠি রেখে গেছিলো তার মায়ের কাছে।

চিঠি
হাই জান। কেমন আছো? যখন তুমি এই চিঠি পরবা তখন আর আমি থাকবো না।তুমি চাইলেও আর আমায় বকতে পারবা না। আর কেউ তোমায় বিরক্ত করবে না। আমি জানি আমার প্রতি তোমার কোন আবেগ, অনুভূতি,ভালোবাসা কিছুই নাই।তাই তো এতো অবহেলা করতে পারতা। ফোন দিলে বকা দিতা।আর কিছু জিগাস করলে তো জিবনেও বলতা না।শুধু দূর দূর করতে। আজ থেকে তুমি মুক্ত।আর কেউ তোমায় বিরক্ত করবে না। আর কেউ বলবে না বিয়ের জন্য পাত্রী দেখো না। দেখলে আমি আত্নহত্যা করবো, কেউ আর কাজের সময় ফোন দিবে না,বলবে না খেতে যাও খেতে যাও, আর কোনদিন কেউ কিছু জিগাস করবে না।তবে এটা আমার জিবনের শেষ প্রশ্ন তুমি কি আমায় সত্যিই ভালোবাসতে? নাকি সবই মজা ছিলো?

ইতি

তোমার দ্বিপানিতা।মজা ছিলো?

 

ইতি
তোমার দ্বিপানিতা।

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।