শাহীদ লোটাসের ৫ কবিতা

 

হৃদয়

 

দিনভর খুঁজে ফিরি

রাতের বিষাক্ত আফিম !

কেবলই আমার হাত গুলি কেপে উঠে

পাথরের ঘাসে ঘাসে সংকলিত মায়া ভরা প্রেমে,

বিষাক্ত প্রিয়তমার নরম ঠোটে!

কেবলই আমার মরুর ঘাসে দিনভর

বেদনা তাপাতে ইচ্ছে করে!

আজো যেই গান

পড়শির সুরে শুনে যাই অনন্তকাল

কেবলই সেই গানে নেচে উঠে

আমার পোড়া মাটি হৃদয়

 

 

পাথরের প্রেম

 

নিষ্পাপ পাথরেও তো প্রেম থাকে,

থাকে অশ্রু ঝরা হাসি!

বেদনার পর মলিন মালায় থাকে

সাজানো খোপার ঘ্রাণ,

 

আমি কত কাল পাথর হয়ে থাকি

তোমার ঘুমন্ত চোখে

হৃদয়েরে পৃথিবীতে!

 

তুমি কার মায়ায় পৃথিবী সাজাও ?

আমাকে সিঁড়ি করে

তুমি হেটে যাও তার হাত ধরে,

আমার বুকের উপর আলতো করে,

তোমাদের পদ চিহ্ন একে যায় সমস্ত জীবন

তুমি হেটে যাও,

মায়ায়!

প্রেমে!

অফুরান অশ্রু স্রোতে !

 

 

 

গহন

 

হৃদয়রে ব্যথায় স্বপ্ন যতটুকু রক্তাক্ত হয়

বিলীন হয় মগজে মননে বিলাস

ততটুকু স্বপ্ন দিয়ে ভালোবেসে ছিলাম তোমায়!

প্রেমে নয়, মায়ায় নয়, তুমি উড়িয়েছ সব

মামুলি ফানুস ভেবে!

 

আজ আমি ফানুস

 

ফানুস হয়ে শূন্যে ভাসি

বিষণ্ণ আকাশে 

একাকী অন্ধকারে

 

 

 

কিছু কথা

আমি তোমাকে বলেছিলাম
পৃথিবীটা অদৃশ্য হয়ে যাবে
তুমি বলতো,
জীবন কি দৃশ্যমান ?
হৃদয় কি দৃশ্যমান ?
আবেগ,
অনুভূতি,
হিংসা,
ঈর্ষা কি দৃশ্যমান ?
আর আমার প্রতি বা তোমার প্রতি এই যে ভালোবাসা
এই যে প্রেম প্রেম অভিনয় এও কি দৃশ্যমান ?
তাহলে তুমি কোন যুক্তিতে বলতে পারো পৃথিবী দৃশ্যমান ?

 

 

মরীচিকা খেলাঘর


এখানে বিষণ্ণ এক নদী ছিলো ছিলো সাগরের গহিন!
ছিলো নির্জন বাগানে পাখির কলরব
এখানে একাকীত্ব ছিলো ছিলো ফিরে পাওয়া সুখ,
আমি কতকাল এই নদীর স্রোতে নিজেকে হারিয়েছি
গহিনে দেখেছি স্বপ্ন
আমি কতকাল বিষণ্ণ নদীতে পাখির গান শুনে
দেখেছি হাওয়া বেসে যাওয়া পাখির ডানা,
দেখেছি চকচকে রোদে কি করে চিল বিষণ্ণতা ছড়ায়!
দেখেছি কি করে পথিক তাকিয়ে থাকে বহুদূর কোথাও
তুমি কতকাল আমাকে  রেখে আকাশে উড়ে ;
হও মহীয়ান রূপসীর মতো নারী
আমি আজো বিষণ্ণ নদীর স্রোতের পাশে
মন্থর ভেসে যাওয়া শ্যাওলা দেখে উপরে দৃষ্টি রাখি,
আকাশে ছাতক আছে আছে শঙ্খচিল আরও আছো তুমি !
আমি তোমাকে ভেবে অনন্তকাল ভেসে যাই বসে থাকার অভিনয়ে
ভেসে যাই শুষ্ক নদীর স্রোতে,

 

 

 

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।