শাহীদ লোটাসের ১৭ কবিতা

স্বপ্নের খামার

 

নিজ আবাদি মনন জমিতে তোমাকে রোপণ করি

সোনালী রঙ্গের সাদা সিধে বীজে

ভূস্বামী আমি নই অনিয়ন্ত্রিত এক চিত্রকর

যখন বুঝতে পারলাম তোমাকে ভালোবাসা মানে

ভেড়ার পালে বিংশ শতাব্দীর সিনেমার শুটিং

আমি স্বপ্ন বাজ আর তুমি খামি

খামখেয়ালে ভালোবাসি তোমায়,

তারপর থেকে আর একটিও কবিতা লিখতে পারিনি,

বিশ্বাস করো, একটিও না,

তাইতো আবার তোমাকে ভালবাসতে শুরু করলাম,

নোনা অভিনন্দনে আসছে কাব্যিক ভাষা

 

 

নীরব অতীত

 

বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে তোমার ঘ্রাণ পাই

গুপ্ত বাতায়নে সু-ঘ্রাণ অতিশয় গভীর

কোন এক নোনা সমুদ্রের গর্জন, ছল ছল

নদীর স্রোত, শিশিরের হিমেল কণায়,

আছো মিশে

 

ঈষৎ স্পর্শে শিহরন জাগে,

যেন তুমি সত্যিই ছুঁয়েছ আমায়

পাখি উড়ে ঝাঁক ঝাঁক

কোন এক দেশ থেকে উড়ে আসে

অচেনা সব পাখির দল

 

আহা! কত দিন দেখি না তোমার

শ্যামল অঙ্গ, বৈকালের নিথর আলো

পড়েনা আর আমার উঠোনে,

বস না তুমি আর অলস বেলায়

শৈশব ফিরবে না কখনই জানি

উদাস পৃথিবী,

স্থির হয়ে আছ চৈতন্যে আমার

তুমি আছ আমি আছি স্মৃতির কামনা নিয়ে মায়া

 

এ অনেক অনেক দিন পর

এখন আকাশ জানি কেমন

বাতাসে মমতা নেই

ফুল আর ফুটে না আমার বাগানে

অঙ্গ থেকে রক্ত ঝরে, লাল লাল রক্ত

ক্ষরণে অনুভব করি আলতো করে ছুঁয়ে দাও তুমি

অলৌকিক ভালোবাসা এই

প্রেম হয় নাকি এমন ?

 

আর কি হবে না দেখা ?

সেই মুখ

সেই চোখ

সেই ঠোঁট

কপালে ঝুলে থাকা তোমার চুল

আর কি হবে না দেখা ?

শুধু আড়াল থেকে স্পর্শ করবে আমায় অনুভবে

অনুভবে এসে

 

 

এই লেখাটি কবিতা নাও হতে পারে

 

আজকাল রোমান্টিক কবিতার খুব একটা কদর

নেই তবুও তোমাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখছি

কারণ তোমাকে না দেখলে আমি তো আর কবি

হতাম না পৃথিবী একজন কবি হারাত যে ব্যর্থ

বাস্তব নিয়ে তোমার জন্য লেখে, গদ্য কবিতার

এখন বড় সমাদর, তাই সাদামাটা ভাবে একটু

পত্রের মত এই লেখা যা লেখতে সময় লেগেছে

আমার আঙ্গুল যত দ্রুত লেখতে পারে আর

তোমাকে নিয়ে শোনা একটি গানের অর্ধেক সময়

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কি শুধু ভালো বেসেই

যাব ? বিনিময়ে কিছুই পাব না ? মিথ্যে অপচয় ?

না, অপচয় নয়, তোমাকে ভাবি বলেই তো আমি

কবি, কবি হওয়ার গৌরব কি অপচয় ? অপমান

সইবার মত ধৈর্য না থাকলে প্রেম করতে যেওনা,

আমি কি অপমানিত ? রাত কি আমায় অপমান

করে ? আধারে আমার অশ্রু ঝরা মুহূর্তে ? দিন

কি আমায় উপহাস করে ? দিবালোক তোমাকে

নিয়ে স্বপ্নে আমায় ? তুমি কি আমায় ?

না থাক

জানলে হয়ত আর আমি কবি হতেই পার বো না

 

 

আপনজন

 

এখন সন্ধ্যা ৭.২৮

আমি এই সময়কে সন্ধ্যা বলবো, না রাত বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না,

এখন কবিতা লেখারও সময় নয়,

কবিতা আসবে না,

মাথায় যন্ত্রণা বোধ হয়ে আছে

বার বার মনে হচ্ছে যে মানুষটির জন্য আমার রাত দিন স্বপ্ন

তাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারলে শান্তি পাই

 

তার ঠোট চোখের সামনে ঘোরে ফিরে আসছে বার বার,

শুষ্ক ঠোট অথচ কি তরঙ্গ তোলে স্রোত সৃষ্টি করে

মনে হচ্ছে তাকে ঝরিয়ে ধরতে না পারলে  বাচাই সম্ভব নয় আমার,

আর তাকে নিয়ে আমার সমস্ত জীবন কাটাতে না পারলে

এই জীবন সম্পূর্ণ যন্ত্রণায় যাবে,

আমি সব পেলেও কিছুই পাবো না শুধু তাকে না পেলে,

 

অথচ তাকে আমি মেরে ফেলতে চাইছি

 

মনে হচ্ছে সেই আমার সব চেয়ে বড় অনিষ্ঠকারী,

সেই আমার সব চেয়ে বড় শত্রু,

সেই আমার সব চেয়ে আপনজন

 

 

তোমাকে চেয়েছিলাম

 

বেশ্যার চিতার গলিতে সুখের লালায় আসে কামনার স্রোত

এখানে সে আছ, আমিও আছি কিন্তু  তুমি  নেই

তার দেহের জমিনে তোমাকে বুনি,

অতঃপর

চুম্ব-নকরি একের পর এক,

অন্ধকারে উষ্ণ শ্বাসে নগ্ন দেহে বৈশাখ এনে দেয়,

সে কারো নয়, কোন পতিত প্রাসাদের

পেঁচার প্রেমিকার, বা ছয়শ বেশ্যার অভিশাপ মাখা

আমার যৌন জীবনের আমি বুঝতে পারি

কোন এক মরীচিকার নোনা ঢেউয়ের তাল

নারীর সৃষ্টি কামনা নিয়ে আমাকে গ্রাস করে,

আমি অবশ হয়ে যাই

 

হয়তো এই প্রেমেই আমি

তোমাকে চেয়েছিলাম

 

 

অস্পষ্ট

 

শ্রাবণ বৃষ্টি এমন কেন আজ ?

বিমূঢ় মুগ্ধ অশ্রুতে ভেসে যায় দুটি চোখ

রৌদ্র তাচ্ছিল্য কেঁপে কেঁপে হয় স্বাধীন

পরাধীন প্রত্যাশার তপ্ত জলে

তোমার মোটা পা ছুঁয়ে দিয়ে

ঠোটের প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ

দৃষ্টির শেষ সীমানায়

তারা গ্লাসে গ্লাসে মদ নিয়ে

মাতাল করেছে আমায়,

তুমি নর্তকী নও তবুও তুমি নাচো

কত হাসবে তুমি ?

কয়েকটি জোনাকি রাতের আধারে

সহকারী ওরা,

না, তুমি নাচতে বলো না, আমি শুধু দেখবো

জ্যোৎস্না ভেজা জ্যোৎস্নায়

অশ্রু ভেজা আমার অস্পষ্ট চোখে

 

 

তোমাকে নিয়ে আরেকটি কবিতা

 

নীল আঁচল জড়িয়ে ছিল তোমায় একবার

তার পর এরূপ দেখিনি আর

দুইটি পাখি

সেকেন্ডে দুইশ বিশ কিলো গতি নেই আমার

সূর্যের আগে যেতে পারি তোমার কাছে

বেলা বারটার কড়া রৌদ্র, উদাস দুপুর

একটার ট্রেন এক ঝাঁক যাত্রী নিয়ে তিনটায়

ঝনঝন শব্দে স্টেশনে উপস্থিত

বৈকালের প্রতীক্ষায় তোমাকে নিয়ে

 

আজ পাখিটি একা

কালো পাখিটি এসেও আসে না কোনদিন

শৈশবে এসেছিল পথ ভোলা মন

 

 

চাতক

 

জল স্পর্শ করে সাহারা ধু-ধু

নোনা জল বৃষ্টি হয়েছে কত মরুর বুকে

অতৃপ্ত আত্মায়

একটি টিকটিকিও বেঁচে নেই

তৃষ্ণার স্রোতে ভেসে গেছে সব,

জ্যোৎস্না এসে চলে গেছে আবার

আসবেনা কোন দিন

 

 

ঢেউ

 

ঢেউ যেমন চলে যায় /স্মৃতি রেখে বালুকা

,,

আচ্ছা, তোমার অশ্রু যদি ঢেউ হয়?

বালুকা হয় কাজল, কেমন হয় বলতো ?

প্রতিদিন

স্মৃতি

উৎকণ্ঠ

উৎসব,

না, কোনদিন কাজল মাখনা বলে

স্মৃতি হয়নি আমি তোমার জীবনে

কলঙ্ক আজ আমায় ছোঁবে বলে

ছুঁতে দাওনি তোমার জীবন

রৌদ্র ঝরা মেঘের হৃদয়

গাংচিল উড়ে একা শূন্যতায়

পড়ে রয় ঘাসের পরে ঘাস

বর্ষায়!

 

 

তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখতে ভালো লাগে

 

অশ্রু এখন চোখে ঘুমায়,

আমি মনে করার চেষ্টা করি ধূসর সন্ধ্যায়

আধারের আড়াল থেকে আসছে কুয়াশার সকাল,

স্টেশনে কোন যাত্রী নেই সুনসান চারদিক

বেঁধে বৃদ্ধ বসে আছে এলো চুলে

পশুর হাড় নিয়ে তাবিজের বাজার,

আলকাতরার ঘ্রাণ নিয়ে হাঁটছি

পাথর গুলো ঢেকে আছে কাঠের বুক

আমি মনে করার চেষ্টা করছি,

বারান্দার সামনের ঘাস গুলো

ঘুমিয়ে আছে বৈকালের অপেক্ষায়,

কয়েকটি পাখি উড়ে গেল বুক ছুঁয়ে

নিরাকার নিরাশায় পোড়ায় সময়

অলস ব্যস্ততায় আমি একা

তারপর

তুমি দাঁড়িয়ে আছ অপেক্ষায় অনেকক্ষণ

আমার চোখে ক্লান্ত দৃষ্টি রেখে তুমি হাসছ,

উল্লাস,

আমি মনে করার চেষ্টা করছি,

তোমাকে হারানোর সতের বছর পর

অতীত মনে করতে গেলেই

তপ্ত অশ্রু চোখেই শুকিয়ে যায়

 

 

না ফেরার পাখি

 

রাতকে আমি আর বিবর্ণ হতে দিব না,

চাঁদের আলো আঁধার বেয়ে যখন দেখবে তোমায়,

তোমার ঠোঁট দুটি কাঁপছে, দুটি চোখ নির্বিকার,

কপাল ঘামে ভেজা, তখন তাকিয়ে থাকবো

অশ্রু ভেজা প্রতীক্ষার অতীতে,

অনেক সাধনায়, তুমি ভালোবাসা আমার,

যে রাতে চাঁদ থাকবে না আর কোনদিন

আঁধার জড়িয়ে থাকবে সমস্ত

আমিও জড়িয়ে থাকবো তোমায়

 

হারিয়ে যাও যদি রাতের আলো

জানি ফিরে আসবে না কোন  দিন

 

 

আবার তোমার জন্ম হল

 

তাঁরার দেশে হাওয়া হয়ে গেলে ?

নীল আলোর ছায়ায় সাদা-কালো আলো হাসে !

তোমার জন্ম হল এবার বাস্তবের দিন-রাত্রির গ্রহে

বাস্তবতায়,

আবেগের সমুদ্র তোমাকে আর ছুঁতে পারবে না

আজ বিবেকের কাঠগড়ায়, তুমি হাসবে সত্যিই

শিশির ঝরা ঘাসে সারথি হয়ে

অনেক রৌদ্র তোমার গায়ে লাগবেনা আর

অভিলাষে রঙ্গিন স্বপ্নের কবি হয়ে,

গৌরবের যত ইতিহাস তুমি কল্পনা কর

আজ বৈকালের শান্ত আলোয়,

রাতে তুমি মহীয়সী জোনাকির মিছিলে তুমি অম্লান

 

কু-উ- কু-উ কু কোকিল আজ রূপকথা তোমার

তুমি আর সাধারণ নও, প্রভু!

অতীতকে মৃদু হাসিতে বল, কি পাগলামি,

আবার তোমার জন্ম হল অনেককে ছাড়িয়ে

প্রভুদের দেশে

 

 

স্নান

 

এসো

লাল গোলাপের রঙ দিয়ে তোমাকে সাজাই,

 

অতৃপ্ত আত্মা বৃষ্টি স্নানে ধুয়ে নিবে আমার মেঘ বিলাসী চোখ

তোমাকে বিদায় জানাই বিড়ম্বনা

আর একটি ব্যর্থতার সূর্য উদিত হবে না তোমার  আকাশে

তোমাকে স্পর্শ করবো বলে আকাঙ্ক্ষায় কাটিয়েছি রাতের পরে রাত

আজ ভোরেই তুমি জানালে…

অনেক বৃষ্টি হবে,

মেঘ পালকী বেয়ে বেড়াবে,

মেঘের গর্জনে সঙ্গীত হবে প্রকৃতিতে,

সাদার উপর হলুদ আর লাল আলপনার সুতি শাড়ি জড়িয়ে থাকবে তোমার অচেনা শরীর, কপালে লাল টিপ,

পুরো খোঁপা বেলি ফুল দিয়ে রাখবে ঢেকে,

রজনীগন্ধা গোলাপের মিশেল কানের দুল

গলায় মালা হবে কাঁঠালচাঁপায় হাতে শুকনো বকুল,

তারপর

ব্যস্ত হয়ে আশ্রয় নিব কোন গাছের ছায়ায়

ভিজে ভিজে মনের বিরোধিতায় বলব,

দুর-ছাই এত বৃষ্টি ? এত ঝড় ?

তুমি পাশ থেকে বলবে চল বৃষ্টি স্নান করি

নতুনকে নতুন ভাবে বরণ করার তোমাকে নিয়ে বৃষ্টি স্নান,

পৃথিবীর কেউ দেখবে না আমাদের

 

কত বৈশাখে তপ্ত বৃষ্টিতে ভিজে আমার কল্পনার দুটি চোখ

তোমাকে সাজিয়ে…

 

 

ঝরা পাতার ছন্দ

 

ঝরাপাতার কবিতা গুলো আজকাল আর

তোমার পায়ের শব্দে মরমর  করে উঠে না

কাঁঠাল ঘ্রাণের করুণ বাতাসে

ছন্দগুলো ঝরঝর করে ঝরে যায় চৈত্রের দুপুরে

আমি ঠিক বুঝতে পারি ,

চৈত্রের শুকনো বাতাসের দিনগুলো উদাস বটে

কিন্তু আমি নিঃসঙ্গ নই

বাস্তবের পাহারা সুখগুলো হত্যা করে আজকাল

ব্যস্তরই চৈত্রের সন্ধ্যায়,

যৌক্তিকতা ঠিক বুঝিয়েছে আমায়,

বাস্তবিক দিনগুলো কল্পনায় সাজিয়ে

ভেবো না ইন্দ্রিয় পৃথিবী নিয়ে এতো বেশী,

কেননা, আবেগ হল এমন, তুমি

মনের মত করে সাজাতে পার এই পৃথিবী,

বাস্তব ?

এখানে তুমি নাট্যকারের সামান্য অভিনেতা মাত্র

থেমে থেমে উড়ে যায় চৈত্রের ঝরাপাতা

কবিতার পঙক্তি নিয়ে, ছন্দগুলো রয়ে যায় পঞ্চগুণে

আমি ঠিক বুঝতে পারি, এ আমার চিত্ত চাঞ্চল্য

ঝরাপাতার কবিতা গুলো আজকাল

তোমার পায়ের স্পর্শে আর মর্মর  করে উঠে না

আমি ঠিক বুঝতে পারি,

শব্দ হচ্ছে দাম্ভিকতায়

এ তোমার নয়,

অন্য কারো,

অন্য কোন পুরুষের

 

 

তোমাকে দেখতে পাচ্ছি

 

কুৎসিত অন্ধকারে বিজুরি

দেখিয়ে যায় প্রকৃতি উত্তাল,

গাছ গুলো নত হয়ে বলছে, ভেঙ্গো না প্রভু

ধুলোবালি উড়ে যাচ্ছে এলোমেলো বিকট শব্দে

 

আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে…

শূন্যে বিচরণ করে দেহ অনিচ্ছায়

আমি দাঁড়াতে পারছিনা সমস্ত শক্তি দিয়ে

সামর্থ্য ফুরলেই

আত্ম সমর্পণ করবো মৃত্যুর কাছে

 

বিজলীর আলোতে দেখতে পাই

ভাঙ্গা ছেড়া গাছগুলো তীক্ষ্ণধারে অপেক্ষায়,

কখন আমার মাংসে পিপাসা মেটাবে হত্যার

বিজলীর আলোতে আমি আরও দেখতে পাই,

তুমি আনমনায় তাকিয়ে দৃষ্টি ফেরাও

ঘর থেকে জানালা একটু ফাঁক করে,

মায়া নেই দায় নেই অমলিন নির্লিপ্ত দুটি চোখ

 

আমাকে নিয়ে যাচ্ছে এ ঝড়

আমি আমাকে বাঁচাতে পারছি না

সজল চোখে তাকিয়ে আছি তোমার দিকে,

মৃত্যুকালে আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি

এ আমার সমস্ত জীবনের পুণ্যসঞ্চয়ের প্রতিদান

প্রিয়তমা ,

মৃত্যুকালে তোমাকে দেখতে পাচ্ছি

 

 

তুমি কি সেই ?

 

কোন এক প্রেম আছে কেবলি উজ্জ্বল আলোক শিখায়  মায়া ছড়ায়,

কোন এক প্রেম আছে কেবল হৃদয়ের মোহনায় আমাকে ঝরায়

 

ইশকুল শৈশবে এমনি দুরন্ত পনায় আমি তাকে পেয়ে ছিলাম

বনো-হাস অথবা হাসের মতন পৃথিবীতে;

শুভ্র নরম পাখা তার আকাশের বুকে জলের সমান

অথবা জলের বুকে মায়াবী করুন;

আমি তাকে দেখেছিলাম কোন এক প্রেমিকার পাশে

উজ্জ্বল অরণ্যে

বিকেলের মিঠা রোদ গায়ে মেখে নীরবে দাড়ায় পৃথিবীর সমান

 

কোন এক অশ্রু আছে  ব্যাকুলতায় সিক্ত শীতল ,

কোন এক তৃষ্ণা আছে অফুরান মায়াবী অতল

কোন এক মায়া আছে কেবলি বৃত্তের বেদনা ছড়ায় পৃথিবীর যত,

কোন এক প্রেম আছে কেবলি নি:সন্দিগ্ধতায় ফিরে আসে প্রেমেরেই মত

 

তুমি কি সেই ?

 

তুমি কি আমার স্বল্প আলোকে পাওয়া অতি প্রেম অতি মায়া

ফোঁটা ফোঁটা সাদা মাঠা রূপ ?

তুমি কি আমার পাথর পাথর ব্যথা

ব্যাকুল অরণ্যে রুপালী হরিণ ?

 

 

নীল কবিতা

 

তোমায় নিয়ে আজো কোন কবিতা লিখতে পারিনি

অথচ

কল্পনার সব সৌন্দর্য তোমার মাঝেই বিদ্যমান;

আর

আমার অসার কল্পনাও রয়েছে অনেক

তুমি কবিতা থেকেও ঊর্ধ্বে

 

তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতে গেলেই

আমি এক নীল কবিতা হয়ে যাই !

 

 

 

 

You may also like...

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।